রংপুর দুদক কার্যালয়ের উপপরিচালক আবু হেনা আশিকুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, দুদকের গণশুনানিতে কমিশনারের নির্দেশনা অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তর তপন রায়কে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে ।
তিনি আরও জানান, গত ২৮ মার্চ রংপুর টাউন হলে দুদক আয়োজিত গণশুনানিতে মিঠাপুকুর উপজেলার মোস্তাফিজার রহমান নামে একজন শ্রম পরিদর্শক (সাধারণ) তপন কুমারের বিরুদ্ধে ঘুষ দাবি করাসহ বিনামূল্যের ফরমের বিপরীতে টাকা নেওয়ার অভিযোগ করেন।
গণশুনানিতে দুদকের কমিশনার (তদন্ত) জহুরুল হক এই অভিযোগ শোনার পর তার সত্যতা যাচাই করলেও শ্রম পরিদর্শক তপন রায় বিনামূল্যের ফরম দেয়ার বিপরীতে ১০০ টাকা ঘুষ নেওয়ার কথা স্বীকার করেন। কিন্তু লাইসেন্স করে দেওয়ার নামে ৩৫ হাজার টাকা ঘুষ দাবির বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন।
এ ঘটনায় দুদক কমিশনার জহুরুল হক ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বিনামূল্যের ফরমের বিপরীতে নেওয়া টাকা ফেরত প্রদানসহ সেবা গ্রহীতার কাছে ক্ষমা প্রার্থনার জন্য তপন রায়কে নির্দেন দেন। একইসঙ্গে ৩৫ হাজার টাকা ঘুষ দাবির ঘটনায় বদলি না করে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন। দুদক কমিশনার শ্রম অধিদপ্তরকে তিন দিনের মধ্যে ব্যবস্থা নিতে বলেন। অন্যথায় তার বিরুদ্ধে দুদক মামলা করা হবে বলে ঘোষণা দেন।
পরে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক নাসির উদ্দিন আহাম্মেদ রংপুরের শ্রম পরিদর্শক তপন রায়কে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করার আদেশ (স্মারক নম্বর-১২২) দেন। এছাড়া আদেশে ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত শুরুর কথাও বলা হয়।