তবে বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত সম্ভবত সেটিকে আরও নামিয়ে আনতে চান। আগেই একবার বলেছিলেন, বিশ্বকাপে প্রত্যাশা বেশি না রাখতে। এরপর আজ শান্ত বলে দিলেন, তাঁর চাওয়া, দল বিশ্বকাপে প্রত্যাশা পূরণ করতে না পারলেও যাতে সমর্থকেরা দলের পাশে থাকেন!
বাংলাদেশের বিশ্বকাপ মিশন শুরু আগামী ৮ জুন শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। গ্রুপ পর্বে দক্ষিণ আফ্রিকা, নেদারল্যান্ডস আর নেপালকেও পেয়েছে বাংলাদেশ। এখান থেকে পরের রাউন্ডে যেতে হলে সেরা দুইয়ে থাকতে হবে। বাংলাদেশ তা পারবে কি না, সেটা নিয়ে সংশয় অনেক।
এর মধ্যে আজ বিসিবির ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের আয়োজন ‘গ্রিন-রেড স্টোরি’-তে নাজমুল হোসেন শান্ত বিশ্বকাপে দলের এবং নিজের পরিকল্পনা নিয়ে কথা বলেছেন এবং তা বিতর্ক ছড়াচ্ছে।
দেশের বাইরে খেলতে গেলে বাংলাদেশ দলের সমর্থন শান্তদের বাড়তি অনুপ্রেরণা দেয় জানিয়ে এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান বলেন, ‘এটা তো অবশ্যই রোমাঞ্চকর একটা ব্যাপার… দেশের বাইরে যখন সমর্থকরা সমর্থন করেন। এটা একটা বাড়তি অনুপ্রেরণা। আমাদের দেশের প্রতিটি মানুষ যেভাবে ক্রিকেট অনুসরণ করেন, প্রেরণা জোগান, এটা অবশ্যই দলকে উৎসাহিত করে।’
বিশ্বকাপের আগে কোনো বাড়তি চাওয়া আছে কি না – এমন প্রসঙ্গে খারাপ সময়ে সমর্থকদের পাশে চেয়ে শান্ত বলেন, ‘বাড়তি চাওয়া বলতে, বিশ্বকাপের সময় এতটুকু চাইব, আল্লাহ না করুক, কোনো খারাপ পরিস্থিতিতে যদি পড়ি আমরা, ওই সময়টায় যেন দলের পাশে থাকেন, দলকে সমর্থন করেন।’
পরে অবশ্য নিজের ভাবনার প্রক্রিয়াটা ব্যাখ্যা করেছেন শান্ত। ফল নিয়ে না ভেবে প্রক্রিয়ার দিকেই নজর দিতে চান বাংলাদেশ অধিনায়ক, ‘প্রতিটি ক্রিকেটারের তো স্বপ্ন থাকেই। আমরা যখন একটা বড় টুর্নামেন্টে খেলতে যাব, অবশ্যই বড় স্বপ্ন নিয়েই যাই। তবে ‘আউটকাম’ নিয়ে চিন্তা করাটা আমি খুব একটা পছন্দ করি না। আমাদের প্রক্রিয়া ঠিক আছে কি না, প্রস্তুতি ঠিক আছে কি না… এসব জায়গায় যদি ঠিকভাবে কাজগুলো করতে পারি, তাহলে আমার মনে হয় ফলাফল আসবে।’
তা প্রক্রিয়া মেনে সব ঠিকঠাক করতে পারলে বিশ্বকাপে বাংলাদেশের কতদূর পর্যন্ত যাওয়ার লক্ষ্য? শান্ত বললেন, ‘চূড়ান্ত লক্ষ্য তো আমরা সবাই জানি যে, দল হিসেবে অনেক ভালো ক্রিকেট খেলতে চাই, অনেক ভালো জায়গায় যেতে চাই। যেগুলো আমরা অতীতে কখনো করতে পারিনি, এই ধরনের ফলাফল করতে চাই। এগুলো সবসময় থাকবেই। সবার সেই প্রত্যাশা থাকবেই। তবে প্রত্যাশা নিয়ে বেশি চিন্তা করলে তা বাড়তি একটা চাপ, আমার কাছে মনে হয়। তাই প্রক্রিয়া ধরে রাখাটা গুরুত্বপূর্ণ। আমরা যদি ছোট ছোট কাজগুলো ঠিকভাবে করতে পারি, তাহলে ভিন্ন কিছু হবে বলে আমার মনে হয়।’