বিসিএস সাফল্যে উচ্ছস্বিত শাহ মুবদি-উন-নাফি বলেন, অনুভূতি প্রকাশের ভাষা নেই। এক কথায় আলহামদুলিল্লাহ। ৪০তম বিসিএসে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছি, আমি ভীষণ খুশি। স্বাস্থ্য ক্যাডারে প্রথম হওয়াতে আমার পরিবারসহ শিক্ষক, সহপাঠীসহ সহকর্মীরা সবাই খুশি।
এদিকে ৪০তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফলে স্বাস্থ্য ক্যাডারে দ্বিতীয় হয়েছেন রংপুরের পীরগাছা উপজেলার মেয়ে ডা. মালিহা সামিহা শশী। ৪২তম বিসিএসে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়ে শশী সহকারী সার্জন হিসেবে বর্তমানে পীরগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত।
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) থেকে এমবিবিএস সম্পন্ন করা ডা. শশী ছিলেন মমেক-৫০তম ব্যাচের শিক্ষার্থী। ২০১৮ সালে এমবিবিএস সম্পন্ন করেন তিনি। দিনাজপুরের পার্বতীপুরের ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে ২০১০ সালে এসএসসি পাস করেন শশী।
মালিহা শশী পীরগাছা উপজেলার কৈকুড়ী ইউনিয়নের চৌধুরানী কুতুব্বস গ্রামের বাংলাদেশ রেলওয়ে ডেপুটি ফিন্যান্সিয়াল অ্যাডভাইজার অ্যান্ড চিফ অ্যাকাউন্টস অফিসার সাইফুল ইসলামের মেয়ে। তার মা সাবেক প্রধান শিক্ষক নাসিমা আখতার।
নিজের কৃতিত্বপূর্ণ সাফল্যে ডা. মালিহা সামিহা শশী বলেন, আলহামদুলিল্লাহ, ৪০তম বিসিএসে দ্বিতীয় অবস্থান নিয়ে আবারো সহকারী সার্জন হিসেবে আমাকে সুপারিশ করা হয়েছে। আমার এ অর্জনের জন্য আব্বু-আম্মু আর স্বামী মাহে আলমের অবদান স্বীকার না করলেই নয়। আমি চেষ্টা করেছি মাত্র, তবে সবার উৎসাহ ও সাহস আমার সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণা।
এছাড়া রংপুরের তানিমা জামান তন্বী ৪০তম বিসিএস এ প্রশাসন ক্যাডারে সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন। তিনি রংপুর সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিলেন। উচ্চ শিক্ষা (মেকানিকাল ইঞ্জিনিয়ার) গ্রহণ করেছেন রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে।
বুধবার দুপুরে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) ৪০তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করেছে। প্রকাশিত ফলাফলে প্রশাসন ক্যাডারে ২৪৫, পুলিশে ৭২, পররাষ্ট্রে ২৫, কৃষিতে ২৫০, শুল্ক ও আবগারিতে ৭২, সহকারী সার্জন ১১২ ও পশুসম্পদে ১২৭ জনসহ মোট ১ হাজার ৯৬৩ জনকে বিভিন্ন ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন।