রংপুরের কাউনিয়ায় সাইদুল ইসলাম নাম এক যুবককে কুপিয়ে হত্যার পর ঘরের মেঝে খুঁড়ে পুঁতে রাখার অভিযোগে তিনজনের নামে মামলা হয়েছে। শনিবার রাতে কাউনিয়া থানায় নিহত সাইদুল ইসলামের বাবা অজিমুদ্দিন বাদী হয়ে এই মামলা করেন।
ওই মামলায় অভিযুক্ত রফিকুল ইসলাম ও তার স্ত্রী বুলবুলিকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে রোববার সকাল ৯টার দিকে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ। তবে এজাহারে উল্লেখ থাকা আরেক আসামিকে গ্রেপ্তারের আগে নাম জানাতে চায়নি পুলিশ।
এব্যাপারে কাউনিয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুমুর রহমান জানান, ঘটনার দিন জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা ওই দম্পতিকে মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। রোববার সকালে তাদের দুজনকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। অন্য পলাতক আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
রংপুর জেলা পুলিশের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আবু তৈয়ব মুহাম্মদ আরিফ হোসেন জানান, আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, নিহত সাইদুল ইসলাম তার চাচাতো ভাইয়ের স্ত্রী বুলবুলি বেগমকে অনৈতিক সম্পর্কে জড়ানোর প্রস্তাব দেন। এর জেরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে।
উল্লেখ্য, শনিবার কাউনিয়া উপজেলার টেপামধুপুর ইউনিয়নের আজম খাঁ গ্রামে ঘরের মেঝে খুঁড়ে সাইদুল ইসলামের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তার আগে শুক্রবার সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন সাইদুল। পরের দিন শনিবার সকালে রফিকুলের বাড়ির পাশে একটি ভুট্টাক্ষেতে রক্তমাখা কোদাল ও রক্তের দাগ দেখতে পেরে পুলিশে খবর দেন স্থানীয়রা।
পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে রক্তের দাগ অনুসরণ করে রফিকুলের ছোট ভাইয়ের ঘরের মেঝেতে পুঁতে রাখা সাইদুলের মরদেহ উদ্ধার করে। রফিকুল ওই গ্রামের হারেস উদ্দিনের ছেলে এবং নিহত সাইদুল একই গ্রামের অজিমুদ্দিনের ছেলে। তারা সম্পর্কে চাচাতো-জ্যাঠাতো ভাই।