কেউ মারা গেলে সবার আগে ডাক পড়ে যাদের দাফনের পর তারাই থেকে যান লোকচক্ষুর আড়ালে। মৃতদেহ দাফন কার্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেও সামাজিক স্বীকৃতি বাইরে থাকা মানুষগুলোর খোঁজ ক’জনই বা রাখেন। বলছি কবরস্থানের গোরখোদক ও মৃতদেহের গোসল করানো মানুষদের কথা।
এবার তাদের নিয়ে ব্যাতিক্রমি এক আয়োজন করলো সামাজিক সংগঠন বাংলার চোখ। আজ শনিবার বিকেলটা খোর খোদক ও কবরস্থান সংশ্লিষ্টদের জন্য আকর্ষণীয় করে তোলার নেপথ্যের কারিগর তানবীর ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন।
এদিন নগরীর মুন্সি পাড়া কবরস্থানে একে একে জড়ো হতে থাকেন দেড় শতাধিক গোর খোদক ও দাফন সংশ্লিষ্টরা। পরে সংগঠনের চেয়ারম্যান তানবীর হোসেন আশরাফীর সভাপতিত্বে আগতদের হাতে ঈদ উপহার তুলে দেন অতিথিরা।
সেমাই, চিনি, তেল, আলু, চাল, ডালসহ জনপ্রতি ৫ হাজার ৫’শ টাকা মূল্যমানের ঈদ সামগ্রীর প্যাকেজে তুলে দেয়া হয় ঈদের পোশাক ও নগদ অর্থ। এসময় উপহার পেয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন সিটি কর্পোরেশন এলাকার বিভিন্ন কবরস্থানের খোর খোদকরা। পরে তাদের সম্মানে আয়োজন করা হয় ইফতার ও দোয়া অনুষ্ঠান।
বক্তব্য রাখেন, রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মনিরুজ্জামান, রসিকের ২৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শাহাজাদা আরমান, রয়্যালটি মেগামলের চেয়ারম্যান তৌহিদ হোসেন প্রমুখ।
সবশেষ সভাপতির বক্তব্যের মাধ্যমে শেষ হয় সামগ্রিক আনুষ্ঠানিকতা। এমন আয়োজন ভবিষ্যতে অব্যহতা রাখার আকাঙ্খা পোষন করে বাংলার চোখ ও তানবীর ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান তানবীর আশরাফী আশরাফী।
অনুষ্ঠানে বাংলার চোখের রংপুর বিভাগ, মহানগর ও জেলার বিভিন্ন ইউনিটের সংগঠকরা উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, ২০০৭ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে নানা সামাজিক, সাংস্কৃতিক, শিক্ষামূলক ও স্বেচ্ছাসেবামূলক কাজের মাধ্যমে উত্তরাঞ্চলে সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে বাংলার চোখ।