রংপুর পীরগাছার চাঞ্চল্যকর যুবকের ফেসবুক লাইভে এসে আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলার প্রধান আসামীসহ চারজনকে গ্রেফতার করেছেন র্যাব। গতকাল শনিবার দুপুরে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান র্যাব-১৩ রংপুর সদর দপ্তরের সিনিয়র সহকারি পরিচালক (মিডিয়া) মাহমুদ বশির আহমেদ।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে হত্যার সাথে জড়িত কয়েকজন আসামী ঢাকা জেলার সাভার থানাধীন এলাকায় আত্মগোপনে থাকায় শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর সাভার থানাধীন হেমায়েতপুর একতা হাউজিং এলাকায় অভিযান চালিয়ে চাঞ্চল্যকর আত্মহত্যার প্ররোচনা মামলার নিম্নোক্ত চারজন এজাহারনামীয় আসামী’কে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃহ হলেন, শাহজাহান ইসলাম @ বাদল (৫০), ইমদাদুল হক (৩৫), শামীমা ইয়াসমিন @ সাথী (২৩) ও বিথী আক্তার (৩০) উভয়ের বাসা রংপুর জেলায়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামীরা আত্মহত্যার ঘটনায় প্ররোচনার সাথে জড়িত বলে র্যাবের কাছে স্বীকারোক্তি প্রদান করেছে। গ্রেফতারকৃত আসামীদেরকে রংপুর জেলার পীরগাছা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, গত ১২ ফেব্রুয়ারি মাসে সকাল সাড়ে আটটায় সময়ে রংপুরের পীরগাছা থানা এলাকায় ইমরোজ হোসেন রনি (৩০) ফেসবুক লাইভে গিয়ে বিষ পান করে আত্মহত্যা করেন। ফেসবুক লাইভে তিনি তার আত্মহত্যার জন্য স্ত্রী, শ্বশুর, চাচা শ্বশুর ও ভায়রা ভাইসহ শ্বশুরবাড়ির আরো কিছু সদস্যকে দায়ী করেন।
র্যাব জানায়, গত চার বছর পূর্বে একই উপজেলার পশ্চিম হাগুরিয়া হাশিম গ্রামের দিনমজুর বাদল মিয়ার মেয়ে শামীমা ইয়াসমিন সাথীকে ভালোবেসে বিয়ে করেন ভিকটিম ইমরোজ হোসেন। বিয়ের পর তাদের সংসারে এক ছেলে সন্তান জম্ম নেয়। কিন্তু বেশ কয়েকদিন যাবৎ তাদের মাঝে মনোমালিন্যের সৃষ্টি হয়। মনোমালিন্যের সূত্র ধরে দেনমোহরের ৫ লাখ ঠাকা ও ভরণপোষণ দাবি করে আসছিলেন। এক পর্যায়ে কাউকে না বলে ভিকটিমের স্ত্রী তার চাচা মুকুল মিয়ার বাড়িতে চলে যান। ভিকটিম তার স্ত্রীকে আনতে গেলে ভিকটিমের শ্বশুর বাড়ির লোকজন তাকে বিভিন্নভাবে অপমান অপদস্ত করে।