অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে রাওয়ালপিন্ডি ও করাচি টেস্টের জন্য ফ্ল্যাট উইকেট বানিয়েছিলো পাকিস্তান। যে কারণে দুই টেস্টে বল হাতে মোটেও সুবিধা করতে পারেনি পাকিস্তানের স্পিনাররা। দুই স্পিনার নুমান আলি ও সাজিদ খান একত্রে ৬৬০ রান দিয়ে ১০ উইকেট নেন। তবে এই ফ্ল্যাট উইকেট বল করার কৌশল জানা উচিত বলে মনে করেন পাকিস্তানের স্পিনার সাইদ আজমল।
তার মতে, এমন উইকেটে বোলিং করার কৌশল জানতে হবে। আর এমন উইকেটে বল করতে না পারলে স্পিনারদের খেলা ছেড়ে দেয়া উচিত।
রাওয়ালপিন্ডি টেস্টের দুই ইনিংসে পাকিস্তান রান ছিলো যথাক্রমে- ৪ উইকেটে ৪৭৬ ও বিনা উইকেটে ২৫২। অস্ট্রেলিয়ার ছিলো ৪৫৯। পাকিস্তানের তিন ব্যাটার চারটি সেঞ্চুরি করেন।
উইকেটের মান ‘গড়পড়তা মানের নিচে’ হওয়ায় রাওয়ালপিন্ডির ভেন্যুকে একটি ডিমেরিট পয়েন্ট দিয়েছে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)।
এরপর করাচি টেস্টেও দেখা যায়, ফ্ল্যাট উইকেট। সেখানে ব্যাট হাতে রানের ফুলঝুড়ি ফুটিয়েছেন দু’দলের ব্যাটাররা। অস্ট্রেলিয়া দুই ইনিংসে যথাক্রমে- ৯ উইকেটে ৫৫৬ ও ২ উইকেটে ৯৭ রান করে। পাকিস্তান ১৪৮ ও ৭ উইকেটে ৪৪৩ রান করে করে। ব্যাটারদের দাপটে দু’টি টেস্টই ড্র হয়।
তবে এমন উইকেটে পাকিস্তানের স্পিনারদের পারফরমেন্স দেখে চটেছেন সাইদ। ক্রিকেট পাকিস্তানকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে আজমল বলেন, ‘স্পিনাররা যদি উইকেট দেখে তারপর বোলিং করে, তাহলে স্পিনার হয়ে লাভ কী? স্পিনারদের উচিত সব কন্ডিশনে পারফর্ম করতে শেখা। যেসব উইকেটে খেলা হয়েছে সেগুলো ফ্ল্যাট। তবে টেস্ট ক্রিকেটে এমন উইকেট হতেই পারে।’
তিনি আরও বলেন, ‘পাকিস্তান সবসময় স্পিন উইকেট বানায়, এমন একটা ধারণা প্রচলিত আছে। অথচ আমরা যখন আরব আমিরাতে খেলতাম, তখনও আমাদের বলে স্পিন করাতে হয়েছে এবং এটা জাদুকরীভাবে ঘটেনি।’
স্পিনাররা যেকোন উইকেটে, যেকোন পরিস্থিতিতে উইকেট নিতে পারেন বলে জানান আজমল। তিনি বলেন, ‘দু’টি বিষয় আছে, একটি যেখানে আপনি নিজে স্পিন করেন এবং অন্যটি যেখানে আপনার জন্য স্পিন হয়। মৌলিকভাবে এই দু’টি ভিন্ন বিষয়। যিনি নিজে স্পিন করেন, যেকোন অবস্থায় উইকেট নিতে পারেন তিনি। আমাদের সমস্যা হল আমরা গতির ভিন্নতাকে যথেষ্ট ব্যবহার করি না।’
তিনি আরও বলেন, ‘উইকেট নিতে হলে, আপনার প্রয়োজন টেম্পারমেন্ট। ব্যাটারদের সাথে মাইন্ড গেম খেলতে হলে ৮-১০ ওভার বল করতে হবে এবং আপনার পরিকল্পনা কার্যকর করতে সফল হবেন। যদি ফ্ল্যাট পিচ নিয়ে অভিযোগ করতে চান তাহলে আপনার উচিত ক্রিকেট ছেড়ে দেওয়া।’
২০০৮ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত দেশের হয়ে ক্রিকেট খেলেছেন আজমল।