1. miahmohammadshuzan@gmail.com : Central News :
  2. centralnewsbd24@gmail.com : CNB BD : CNB BD
ঠাকুরগাঁওয়ে যুবলীগ নেতাকে কুপিয়েছেন ছাত্রলীগনেতা | Central News BD
শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১০:০৯ পূর্বাহ্ন

ঠাকুরগাঁওয়ে যুবলীগ নেতাকে কুপিয়েছেন ছাত্রলীগনেতা

নিজস্ব প্রতিবেদক রংপুর ও ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : শনিবার, ৯ এপ্রিল, ২০২২
  • ৮০ জন সংবাদটি পড়েছেন

ঠাকুরগাঁওয়ে চাদা না পাওয়ায় নুর ইসলাম নামে এক যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে জখম করেছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। শনিবার ৯ এপ্রিল মধ্যরাতে জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার পাড়িয়া ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে।

আহত যুবলীগ নেতা নুর ইসলাম (৩০) ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার পাড়িয়া ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্বে রয়েছেন।

বর্তমানে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৪তলা ১৫ নং ওয়ার্ডে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। এ ঘটনার পর থেকেই এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।

নুর ইসলাম বলেন, তারাবির নামায পরে রাত এগারোটা ১৫ মিনিট বাজে প্রায় আমি একাই বাসা যাচ্ছি। পিছন থেকে আমাকে টেনে ধরেছে রাম দা দিয়ে আমাকে কোপ দেয় মাথায়। এসময় তারা বলেন ব্যাটা তোরে মেরে ঠেলবো, তোর কোন বাপ আছে এখন তোরে বাচাবে। আমরা এমপির লোক, মাস্টারের লোক। এই কথা বলতে থাকে আর আমাকে মারতে থাকে।

নুর ইসলামরে স্ত্রী শিউলি আক্তার বলেন, কাজ শেষে প্রতিদিনের মতই বাড়ি ফিরছিলো আমার স্বামী নুর ইসলাম। এসময় আগে থেকে ওৎ পেতে থাকা দূবৃত্তরা দেশী অস্ত্র দিয়ে হামলা চালায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। আমার স্বামীকে কুপিয়ে যখম করেছে পুরো শরীরে।

আরও পড়ুন:

ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে গমের বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি

পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা কমপ্লেক্স ও ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করলে উন্নতি চিকিৎসার জন্য কর্তব্যরত চিকিৎসক স্বামীকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করতে বল। আমরা দ্রুত নিয়ে আসি রংপুর মেডিকেল কলজে হাসপাতালে।

নুর ইসলামরে ভাগিনা রিপন আহম্মেদ বলনে, আমার মামাকে মারার মূল্য উদ্দেশ্য হচ্ছে আমাদের এলাকায় ছাত্রলীগের ছেলেরা কিছুদিন আগে একটা পাওয়ার টিলার চুরি করছিলো। সেটি আমার মামা থানায় যোগাযোগ করে পুলিশের সহযোগীতায় উদ্ধার করে দিয়েছে। ছাত্রীগের নেতাদের কথা মামা কেনো উদ্ধার করে দিলো। সেজন্য এই হামলা চালিয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আমার মামাকে পরিকল্পিত ভাবে এই হামলা করেছে। মামার কাছে অনেক টাকা ছিলো। তারা এই টাকা নেয়ার জন্য অনেক জোর জবস্থি করে। মামা টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় তারা আমার আমাকে মেরে ফেলার জন্য দা, চাপাতি, ব্যাকি, হকস্টিক দিয়ে মারধর করে। আমি এঘটনআর সুষ্ঠ তদন্ত করে দ্রুত বিচারের দাবি যানাচ্ছি।

স্থানীয় এলাকাবাসী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ওই ইউনিয়নের একাধিক রাজনৈতিক নেতা জানান, কয়েক মাস আগে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে পাড়িয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু বক্কর এর সাথে নুর ইসলামের বাকবিতণ্ডা হয়।

ধারণা করা হচ্ছে ওই জের ধরেই ঊর্ধ্বতন মহলের দিকনির্দেশনায় তাকে কুপিয়ে যখম করা হয়েছে। আমরা এ ধরনের কাজ কখনই আশা করিনা। তাকে হত্যার চেস্টায় এভাবে কুপিয়ে যখম করা হয়েছে। আমরা জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার ও শাস্তির দাবি করছি।

আরও পড়ুন:

পীরগঞ্জে উন্নয়ন বাস্তবায়ন কমিটির সাধারণ সভা

 

যুবলীগের সদস্য হুমায়ন কবির ও হাফিজ মিয়া জানান, কিছু দিন আগে পাওয়ার টিলার চুরি হয়েছে। সেই পাওয়ার টিলারটি আমার যুবলীগের কয়েরজনসহ বালিয়াডাঙ্গী থানা পুলিশের সহযোগীতায় আমরা পাওয়ার টিলারটি উদ্ধার করতে সক্ষম হই। উদ্ধার করার কারছে ছাত্রলীগের ছেলেরা খুব ক্ষিপ্ত হয়েছে আমাদের উপরে।

এ বিষয়ে উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান আলী আসলাম জুয়েল জানান, ঘটনাটি শুনেছি। বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক। দ্রুত আইনের আশ্রয় নেওয়া হবে। এদিকে সাবেক উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মমিরুল ইসলাম সুমনের সাথে এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন ধরেননি।

যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, এটা একটা ভালো মানুষের কাজ হতে পারে না। ছোট্র একটা বিষয় ছিলো। নুুর ইমলামের কাছে শুনে জানতে পারছি। ইউনিয়নের চেয়ানম্যান উপস্থিত ছিলো পাওয়ার টলি চুরি হয়েছিলো ঐ চোরটাকে সঙ্গে করে নিয়ে বেড়াচ্ছিলো ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু বক্কর।

তিনি বলেন, ইউনিয়নের চেয়ারম্যানসহ প্রায় দুই ঘন্টা অপেক্ষা করছিলো। তখন বলছিলো ঐ চোরটাকে নিয়ে আসো। আর আবু বক্কর বলে আনি দিচ্ছি আনি দিবো। পরে আর বলে আনি দিতে পারবো না। কারণ আবু বক্করও এই চুরির সাথে জড়িত ছিলো। এটা নিয়ে প্রথমে দুইচারটা কিল ঘুষি হয়েছিলো।

চেয়ারম্যান বলেন, দলীয় ভাবে পদক্ষেপ তো নিবোই আমরা। আমার আইন সিঙ্খলার মিটিং আছে আমি সেখানেও উপস্থপনা করবো এই বিষয়টা। প্রশাসনের লোকজন কি আশ্বাস দেয় সেটি জানবো না হলে আইনগত ভাবে আমাদেরকে ব্যবস্থা নিতে হবে।

চেয়ারম্যান আরও বলেন, আমি যুবলীগ করি। যুবলীগ আমার একটি পরিবার। যুবলীগের প্রতিটা কর্মীয়ে আমার ভাই। তার পাশে তো থাকা দরকার। যতক্ষণ পর্যন্ত সুষ্ঠ বিচার না পাই আমি আমার ভাইয়ের জন্য পাশে থাকবো।

এ বিষয়ে বালিয়াডাঙ্গী থানা ওসির সাথে যোগাযোগ হলে তিনি জানান বিষয়টি শুনেছি। পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আপনার সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার দিন

এই ক্যাটাগরীর আরও খবর

© ২০২১-২৩ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | সেন্ট্রাল নিউজ বিডি.কম

Theme Designed BY Kh Raad ( Frilix Group )